সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
মুলাদী সংবাদদাতা: নদীবেষ্টিত জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পৈক্ষা-নমরহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘ চার মাস ধরে তালা ঝুঁলছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গাছুয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। চার মাস ধরে তালাবদ্ধ থাকায় ওই এলাকার মানুষদের চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরত্বের উপজেলা সদরে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী কেউ না থাকায় অযতœ-অবহেলায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেখানে নিয়মিত একজন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে গত চার মাস ধরে তালা খোলার মতো কেউ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গাছুয়া ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা জানান, তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পৈক্ষা-নমরহাট এলাকায় দ্বিতল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপিত হয়। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উদ্বোধণের পর কিছুদিন ঠিকঠাক মতো চললেও কয়েকদিনের মধ্যে কার্যক্রম ঝিমিয়ে পরে। একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেয়া হলেও ইউনিয়নবাসী কোনে দিন ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা পাননি।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সদ্যবিদায়ী স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ শওকত হোসেন হিরু’কেই সবাই ডাক্তার মনে করতেন। তিনি সপ্তাহের দুই থেকে তিনদিন রুটিন করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে কিছু কিছু ওষুধ বিতরণ করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য সহকারী শওকত হোসেন হিরু চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী অবসরে চলে যান। অবসরে যাওয়ার আগে সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় তিনি একবার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলেন। এরপর থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষ ওষুধ নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। চার মাস ধরে তালাবদ্ধ থাকায় স্থানীয়দের চিকিৎসার জন্য প্রায় দশ কিলোমিটার দূরত্বের উপজেলা সদরে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইয়েদুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল কম থাকায় পৈক্ষা-নমরহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে লোক দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেনকে সপ্তাহের তিনদিন ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পৈক্ষা-নমরহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংস্কারের কাজ করার কথা থাকায় আমি সেখানে যাইনি। এছাড়া আলীমাবাদ থেকে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনেক দূরত্ব হওয়ায় সেখানে সপ্তাহের তিনদিন যাওয়াও কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
Leave a Reply